গাইবান্ধার জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শফিউল ইসলাম নামের এক ইরাক প্রবাসীর স্ত্রী তাহমিনা বেগম সাত বছরের শিশু কন্যাকে রেখে পরকীয়া প্রেমের টানে উধাও হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে।
জানা যায়, স্বামীর বাল্য বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পালিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। পলাতক আঙ্গুর মিয়া একই এলাকার মৃত ফরলার রহমানের ছেলে। এদিকে ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও গৃহবধূর সন্ধান না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী সফিউল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগে তাহমিনা বেগম পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। শনিবার (৩ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগীর পরিবার।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সফিউল ইসলামের সঙ্গে ১১ বছর পূর্বে তাহমিনা বেগমের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের ৭ বছর পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে সফিউল প্রবাস জীবনে চলে যায় ইরাক দেশে। এই সুযোগে তাহমিনা বেগম তার স্বামীর বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হলে তাহমিনা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে জানান এলাকাবাসী। গত ২৬ মে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নিখোঁজ হন প্রবাসীর স্ত্রী। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার জানতে পারেন তাহমিনা বেগম পূর্ব প্রেমিক আঙ্গুরের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন। তাহমিনা বেগম উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের ফরিজল মিয়ার মেয়ে।
প্রবাসী সফিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রী তাহমিনা গত দুইবছর পূর্বে জমি কেনার কথা বলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে। তিনি আরো জানান, আঙ্গুর আমার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে এতো বড় ক্ষতি করবে আমি তা কখনো ভাবতে পারিনি।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।